ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় হাঁসের বাচ্চা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১৫জন আহত হয়েছেন। আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এরা হলেন- শিপন (৩০), জাহাঙ্গীর (৩৫), শাহাঙ্গীর (৩২), হুমায়ন (৪০), তাছলিমা (৩২), মোছা. তারিন (২৯), সজিব (১৮), জসিম উদ্দিন (২৫), সোলায়মান (৬৫), রিমা আক্তার (১৪), আক্তার (৩৫), খোকন মিয়া (৩০), ইয়াসমিন (৩০), মুখলেস মিয়া (৪৫), বড় আবু (৩৩)। গুরুতর আহত অবস্থায় তাছলিমা, জাহাঙ্গীর ও শিপনকে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। তাছাড়া অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেছেন।
সোমবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের মইন্দ গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। হাসপাতাল ও আহতদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, মজলিশপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার হারিজ মিয়ার ছেলে রুবেল একই এলাকার মৃত আহমদের ছেলে জাহাঙ্গীরের ঘর থেকে হাঁসের বাচ্চা নিয়ে যায়। হাঁসের বাচ্চা নেওয়ার সময় রুবেলকে বাধা দিলে হারিজ মেম্বারের ছেলে ও মেয়েরা জাহাঙ্গীরের উপর হামলা করেন। জাহাঙ্গীরকে বাঁচাতে গিয়ে আরও ১৪ জন আহত হয়। আহত তারিন আক্তার জানান, রুবেল এলাকায় মাদকসেবি ও জুয়ারি হিসেবে পরিচিত। তার বাবা বর্তমান ওয়ার্ড মেম্বার। এর আগে রুবেল একাধিকবার এলাকার বিভিন্ন বাড়ি থেকে হাঁস ও হাঁসের বাচ্চা চুরি করে নিয়ে গেছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মজলিশপুর এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১০-১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।